প্রধান শিক্ষকের বাণী

মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, প্রধান শিক্ষক

মালপদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় অবস্থিত। এটি অত্র এলাকার একটি স্বনামধন্য শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৮৩ ইং সালের জানুয়ারি মাসে বিদ্যালয়টি বেসরকারি বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ইং সালে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল হিসেবে এমপিও ভুক্ত হয়। এবং ২০০১ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। বিগত জেএসসি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল অর্জন করে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আয়োজিত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নৈপূন্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে সু-নাগরিকসুলভ ব্যাক্তিত্ব, উদারতা, শৃঙ্খলাবোধ, সত্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম এবং আধুনিক মানসিকতা বিকশিত করে তোলাই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক এবং সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে বিদ্যালয়ের পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। সদস্য, অভিভাবকগণের প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সাফল্যের শীর্ষে পৌছানো সম্ভব। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সকল নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি। হাজার বছরের সভ্যতার জনপদ বিক্রমপুর অধুনাকালের মুন্সীগঞ্জ জেলা। ১৯৮৩ইং সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননকে লালন ও শাণিত করার মাধ্যমে দেশের যোগ্য ভবিষ্যৎ নাগরিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বরাবরই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। শিক্ষা মানবসম্পদ ও জাতীয় উন্নয়নের মূল হাতিয়ার। মালপদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সুদক্ষ ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী আত্মনির্ভরশীল, নীতিবোধ ও মূল্যবোধসম্পন্ন দক্ষ ভবিষ্যৎ নাগরিক তৈরীর লক্ষ্যে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে নিরলস কাজ করে চলেছে। যথাযথ মানসিক, শারীরিক, সামাজিক নৈতিক বিকাশ সাধনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমিক উৎকর্ষতা অর্জন আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানের সুদক্ষ নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর পাবলিক পরিক্ষায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক এ তিন বিভাগেই তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখছে। জেএসসি ও এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার যুগ। স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে তথ্য প্রযুক্তির কোন বিকল্প নাই। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, পরীক্ষার ফলাফল, ছাত্রীদের সকল তথ্য এস এম এস এর মাধ্যমে প্রেরণ এবং তদসংশ্লিষ্ট কার্যাবলি তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হচ্ছে।